শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম
নিজস্ব প্রতিবেদক

ফাইল ছবি
সদ্য সমাপ্ত বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ জয় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অনন্য উচ্চতার শেখরে নিয়ে গেছে।
তিনি এখন বাংলাদেশের প্রতিকৃতিতে পরিণত হয়েছেন। তার সামনে অমরত্বের হাতছানি। এই নির্বাচনে জয়ী হয়ে তিনি টানা তৃতীয়বার প্রধানমন্ত্রী হওয়া কেবল নিশ্চিত করেননি বরং তিনি জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের সুবর্ণ জয়ন্তী তার নেতৃত্বে করার অধিকার আদায় করেছেন।
এদিকে, দেখার অপেক্ষায় জনগণ, আগামী পাঁচ বছর তিনি কীভাবে দেশ পরিচালনা করবেন। গত দশ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে যে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তাতে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এখন একটি রোল মডেল রাষ্ট্র। এই অর্থনৈতিক অভিযাত্রার কারণেই দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী এবার তার উপর আস্থা রেখেছে। যার প্রতিফলন দেখা গেছে গত ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে। এর আগে, ১৯৯৬ সালে প্রথমবার দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে তিনি নীতি এবং পদ্ধতির উপর জোর দিয়েছিলেন। বিভিন্ন অমিমাংসিত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করেছেন।
২০০৮ সালে তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা পুনর্বাসনের কাজটা শক্ত হাতে করেছেন। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, ৭২এর সংবিধানের ধারায় দেশকে এগিয়ে নেয়ার যুগান্তকারী সিদ্ধান্তগুলো তিনি বাস্তবায়ন করেন। ২০১৪-তে ক্ষমতায় এসে তিনি অর্থনৈতিক চাকাকে সচ্ছল করেছেন, বিভিন্ন মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী নিজেও বলেছেন, বাংলাদেশে তার সরকার যে অর্থনৈতিক কর্মযজ্ঞের সূচনা করেছে, সেটা আর কেউ বন্ধ করতে পারবে না। তাই টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হয়ে দেশ পরিচালনার পাশাপাশি অর্থনৈতিক উন্নয়ন যে থেমে যাবে না, তা বোঝাই যায়। অবশ্য দেশের উন্নয়ন এবং অগ্রগতির জন্য অর্থনৈতিক খাতকে আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই গুরুত্ব দিয়েছে।
তাছাড়া ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রধান লক্ষ্য হতে পারে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সংগ্রাম। বাংলাদেশের যে অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা, বাংলাদেশের যে অর্জন তার সবটাই ম্লান করে দিতে পারে দুর্নীতি। বিগত দুই মেয়াদে আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী এবং এমপির বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল। আর দুর্নীতির এসব অভিযোগের কারণেই সবচেয়ে সমালোচিত হয়েছে আওয়ামী লীগ। তাই তৃতীয় মেয়াদে শেখ হাসিনা হয়তো দুর্নীতির বিরুদ্ধে যুদ্ধে নামবেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনাকে অভূতপূর্ব এক সুযোগের সামনে দাঁড় করিয়েছে। জাতির অভিভাবক হিসেবে অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে তিনি কী আচরণ করেন তা দেখার বিষয়। একটি ঐক্যমতের রাজনীতির মাধ্যমে বাংলাদেশকে যদি তিনি আগামী ৫ বছর এগিয়ে নিতে পারেন তাহলে তা হবে বাঙালী জাতির একটি আকাঙ্ক্ষা পূরণ। তিনি যদি দলের ঊর্ধ্বে উঠে বাংলাদেশের জনগণের প্রধানমন্ত্রী হন, তাহলে নিশ্চয়ই তিনি অমরত্ব পাবেন।
নিউজওয়ান২৪/আরএডব্লিউ
- ভাষা আন্দোলনের আদ্যেপান্ত
- মহান বিজয় দিবস আজ
- সেনা কল্যাণ সংস্থার শিক্ষামূলক বৃত্তির চেক পেল ২৯৩ শিক্ষার্থী
- বারবার ধর্ষন করা হয়েছে: সুকির দেশ থেকে পালিয়ে আসা নারীদের আর্তনাদ
- ‘বাড়াবাড়ি করছে, দিছি...সরাইয়া’
- পিলখানা হত্যাকাণ্ড: বিজিবির সব ইউনিট শাহাদাত বার্ষিকী পালন করবে
- ট্রেনের টিকিট কাটতে লাগবে এনআইডি নম্বর
- সেনাকল্যাণের ৪৪তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষ্যে দরবার অনুষ্ঠিত
- কুয়েতের সঙ্গে তিনটি নয়, চারটি চুক্তি স্বাক্ষর
- খালেদার আপিল শুনানির সময় ইসিতে যা ঘটেছে
- পাকিস্তানি স্কুলের মতে ‘পাঞ্জাবি অশ্লীল ভাষা’!
- আসল নকল থেকে সাবধান: ভয়াবহ বিপদ ঘটে যেতে পারে!
- অনিরুদ্ধ অপহৃত নাকি আত্মগোপনে!
- বাংলাদেশের রাজনৈতিক জরিপ ও সত্য-মিথ্যা
- ২১ ফেব্রুয়ারি
মহান শহীদ ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস আজ